তাওবাহ খাঁটি এবং পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য কমপক্ষে ৩টি শর্ত প্রয়োজন। এতে মানুষের হক জড়িত থাকলে ৪ শর্তে তাওবাহ করতে হবে। এ শর্তগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো মানুষের তাওবাহ কবুল হবে না। তাহলে তাওবাহ পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য শর্ত ও পদ্ধতি কী?
মানুষের গুনাহের সম্পর্ক যদি
শুধু
আল্লাহর (অবাধ্যতার) সঙ্গে
থাকে
এবং
কোনো
মানুষের অধিকারের সঙ্গে
কোনো
সম্পর্ক না
থাকে,
তাহলে
এ
ধরনের
তাওবাহ
কবুলের
জন্য
৩টি
পূর্ণ
করা
প্রয়োজন। আর
যদি
কোনো
গুনাহ
মানুষের অধিকারের সঙ্গে
সম্পৃক্ত হয়
তাহলে
৪টি
শর্ত
সাপেক্ষে তাওবাহ
করতে
হবে।
তাওবাহ
করতে
হবে
আল্লাহর কাছে।
তাওবাহ
হবে
শুধু
আল্লাহর জন্য।
গুনাহের কাজ
করার
জন্য
অনুতপ্ত ও
লজ্জিত
হতে
ভবিষ্যতে এই
গুনাহ
আর
না
করার
দৃঢ়
প্রতিজ্ঞা করতে
হবে।
মানুষের অধিকার
তাকে
ফিরিয়ে
দিতে
হবে।
তাওবাহ
করার
পদ্ধতিঃ আল্লাহর কাছে
কীভাব
তাওবাহ
করতে
হবে;
তার
কিছু
সঠিক
নিয়ম
ও
পদ্ধতি
রয়েছে।
যা
যথাযথভাবে পালন
করার
মাধ্যমেই এ
তাওবাহ
আল্লাহ
কবুল
করে
নেবেন।
তাই
তাওবাহর পদ্ধতিগুলো মেনে
চলা
জরুরি।
তাহলো-
১.
তাওবাহ
হবে
আল্লাহর জন্যঃ
আল্লাহর ভয়
বা
সন্তুষ্টি ছাড়া
অন্য
কোনো
সৃষ্টির ভয়
বা
সন্তুষ্টির উদ্দেশে তাওবাহ
করলে
সেই
তাওবাহ
কখনো
কবুল
হবে
না।
কোন
মানুষকে দেখানো
বা
তার
নৈকট্য
পাওয়ার
উদ্দেশে কিংবা
কারো
চাপে
পড়ে
তাওবাহ
করলে
বা
বাহবা
পাওয়ার
জন্য
তাওবাহ
করলে
কিংবা
কারো
মন
রক্ষার
জন্য
তাওবাহ
করলে
অথবা
কোন
স্বার্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে তাওবাহ
করলে,
তা
খাঁটি
তাওবাহ
হবে
না।
তাওবাহ
দ্বারা
উদ্দেশ্য হবে-
শুধু
আল্লাহর সন্তুষ্টি ও
পরকাল
এবং
গুনাহ
থেকে
মুক্তি। এ
ছাড়া
অন্য
কোনো
উদ্দেশে তাওবাহ
করা
যাবে
না।
বরং
অন্য
কোনো
উদ্দেশে তাওবাহ
করলে
গুনাহ
মাফ
তো
হবেই
না
বরং
নতুন
গুনাহ
আমলনামায় যোগ
হওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই
তাওবাহ
করতে
হবে
সরাসরি
আল্লাহর কাছে।
আল্লাহ
ছাড়া
অন্য
কারও
কাছে
তাওবাহ
করলে
তা
কখনই
আল্লাহ
পর্যন্ত পৌঁছবে
না।
এমনকি
তা
কবুল
হওয়ার
তো
প্রশ্নই আসে
না।
বরং
তা
হবে
শিরক।
২.
গুনাহের জন্য
অনুতপ্ত ও
লজ্জিত
হওয়াঃ
গুনাহ
করার
পর
তাওবাহ
করতে
চাইলে
অবশ্যই
তার
কৃতকর্মের জন্য
অন্তর
থেকে
অনুতপ্ত ও
লজ্জিত
হতে
হবে।
অপরাধ
কর্মের
কারণে
লজ্জিত
হওয়া
খাঁটি
তাওবার
পূর্ব
শর্ত।
হাদিসে
এসেছে-
নবিজী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া
সাল্লাম বলেছেন-
النَّدَمُ تَوْبَةٌ : ‘অনুতপ্ত হওয়াই
হলো
তাওবার
মূল
বিষয়।’
(ইবনে
মাজাহ,
ইবনে
হিব্বান)
সুতরাং
কৃতকর্মের জন্য
লজ্জিত
না
হয়ে,
অনুতপ্ত না
হয়ে
যতই
তাওবাহ
করা
হোক
না
কেন;
তা
আল্লাহ
গ্রহণ
করবেন
না।
ইসলামের নীতিমালায় প্রসিদ্ধ নীতি
হলো,
‘পাপকাজ
করে
লজ্জিত
হলে
পাপ
কমে
যায়।
আর
পুণ্য
কাজ
করে
গর্ববোধ করলে
পুণ্য
বাতিল
হয়ে
যায়।’
সুতরাং
যে
পাপ
কাজ
করে,
সে
সাধারণ
মানুষ।
আর
যে
পাপ
করে
অনুতপ্ত হয়,
সে
নেককার
মানুষ।
৩.
পাপ
গোপন
রাখাঃ
এমন
অনেক
পাপ
আছে,
যা
অনেক
নির্বোধ মানুষের কাছে
গর্বের
বিষয়।
ফলে
পাপী
সেই
পাপ
করে
বন্ধু-বান্ধব ও জনগণের
সামনে
প্রকাশ
করে
গর্ব
অনুভব
করে।
এর
ফলে
গুনাহ
মাফ
হওয়ার
সহজ
সম্ভাবনাটুকু নষ্ট
হয়ে
যায়।
হাদিসে
এসেছে-
‘আমার প্রত্যেক উম্মাতের পাপ
মাফ
করে
দেয়া
হবে,
তবে
যে
প্রকাশ্যে পাপ
করে
(অথবা
পাপ
করে
বলে
বেড়ায়)
তার
পাপ
মাফ
করা
হবে
না।
আর
পাপ
প্রকাশ
করার
এক
ধরন
এও
যে,
একজন
লোক
রাতে
কোনো
পাপ
করে;
এরপর
আল্লাহ
তা
গোপন
করে
নেন।
(অর্থাৎ
কেউ
তা
জানতে
পারে
না।)
কিন্তু
সকাল
বেলায়
উঠে
সে
লোকের
কাছে
বলে
বেড়ায়,
‘হে
অমুক!
গত
রাতে
আমি
এই
এই
(পাপ)
কাজ
করেছি।’
রাতের
বেলায়
আল্লাহ
তার
পাপকে
গোপন
রেখে
দেন;
কিন্তু
সে
সকাল
বেলায়
আল্লাহর সে
গোপনীয়তাকে নিজে
নিজেই
ফাঁস
করে
ফেলে।’
(বুখারি,
মুসলিম)
তাই
গুনাহ
হয়ে
গেলে
তা
গোপন
রাখতে
হবে
এবং
গোপনে
লজ্জিত
হয়ে
আল্লাহর কাছে
মাফ
চাইতে
হবে।
তাহলেই
আশা
করা
যায়
পাপীর
তাওবাহ
কবুল
হবে।
৪.
গুনাহ
ছেড়ে
দিতে
হবেঃ
গুনাহগার ব্যক্তি যে
গুনাহ
থেকে
তাওবাহ
করতে
চাচ্ছেন; তাওবার
শুরুতেই তাকে
সেই
গুনাহ
থেকে
নিজেকে
সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে
নিতে
হবে।
অর্থাৎ
সেই
গুনাহ
বর্জন
করতে
হবে।
তাওবার
শর্তসমূহের মধ্যে
এই
শর্তটি
অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।
আবার
কোনো
ফরজ
কাজ
না
করার
গুনাহ
থেকে
তাওবাহ
করতে
চাইলে;
আগে
সেই
ফরজ
কাজটি
করে
তারপর
তাওবাহ
করতে
হবে।
যেমন-
> ‘কেউ
ফরজ
জাকাত
দেওয়া
থেকে
বিরত
থাকতো;
এখন
যদি
সে
জাকাত
না
দেওয়ার
পাপ
থেকে
তাওবাহ
করতে
চায়
তবে
তাকে
প্রথমেই আগের
বছরের
জাকাতগুলো হিসাব
করে
দিয়ে
দিতে
হবে।
কারণ
জাকাত
আল্লাহর হক
এবং
গরীবের
হক।
তাওবার
দ্বারা
আল্লাহর হক
থেকে
মুক্তি
পেলেও
গরীবের
হক
থেকে
তো
সে
মুক্তি
পাওয়া
যাবে
না।
> কেউ যদি
বাবা-মার অবাধ্য হওয়ার
গুনাহ
থেকে
তাওবাহ
করতে
চায়;
তবে
তাকে
সবার
আগে
বাবা-মার সেবায় নিজেকে
নিয়োজিত করতে
হবে।
> কেউ যদি
আত্মীয়তার সম্পর্ক না
রাখার
গুনাহ
থেকে
তাওবাহ
করতে
চায়
তাহলে
তাকে
সবার
আগে
যে
সব
আত্মীয়দের সঙ্গে
সম্পর্ক ছিন্ন
করেছিল
তাদের
সঙ্গে
পুনরায়
সম্পর্ক স্থাপন
করে
তাওবাহ
করতে
হবে।
> যারা মদ্যপান বা
ধূমপান
করে
তাদেরকে মদ্যপান বা
ধূমপান
ছেড়ে
দিয়ে
তাওবাহ
করতে
হবে।
৫.
গুনাহ
না
করার
দৃঢ়
প্রতিজ্ঞাঃ খাঁটি
তাওবাহ
করার
জন্য
প্রকৃত
উপায়
হচ্ছে,
নিজেদের কৃত
গুনাহর
জন্য
লজ্জিত
হয়ে
গুনাহ
বর্জন
করলেই
হবে
না;
বরং
ভবিষ্যতে আর
এই
গুনাহ
না
করার
দৃঢ়
প্রতিজ্ঞা করতে
হবে।
যদি
তাওবাহ
করার
সময়
মনে
মনে
নিয়ত
থাকে
যে
সুযোগ
পেলে
আবার
ঐ
গুনাহর
কাজ
করবো
তাহলে
আল্লাহর কাছে
এই
তাওবার
কোনো
গুরুত্ব নেই।
অর্থাৎ
কোনো
পাপ
কাজ
করার
ক্ষমতা
হারিয়ে
তা
থেকে
তাওবাহ
করলে
তা
কুবল
হবে
না।
বরং
গুনাহ
করার
সার্বিক সক্ষমতা থাকার
সময়
আল্লাহর খুশির
জন্য
এবং
ভবিষ্যতে আর
কখনো
গুনাহ
না
করার
দৃঢ়
প্রতিজ্ঞা করলেই
কেবল
তাওবাহ
কবুল
হবে।
ইন
শা
আল্লাহ।
মনে
রাখতে
হবেঃ
গুনাহগারের সব
পাপই
মহান
আল্লাহ
জানেন।
তাই
আল্লাহকে ফাঁকি
দিয়ে
তাওবাহ
করা
যায়
না।
তাই
কেউ
যদি
অনিচ্ছকৃত বা
না
জেনে
গুনাহ
করে
আল্লাহর কাছে
মাফচায়,
আবার
গুনাহ
করে
মাফ
চায়
আল্লাহ
ক্ষমা
করবেন।
হাদিসে
কুদসিতে নবিজী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া
সাল্লাম বলেছেন-
‘কোনো
বান্দা
একটি
পাপ
করে
বলল,
‘হে
আল্লাহ!
তুমি
আমার
পাপ
ক্ষমা
কর।’
তখন
আল্লাহ
তাআলা
বলেন,
‘আমার
বান্দা
একটি
পাপ
করেছে,
এরপর
সে
জেনেছে
যে,
তার
একজন
রব
আছেন,
যিনি
পাপ
ক্ষমা
করেন
অথবা
তা
দিয়ে
পাকড়াও
করেন।’
এরপর
সে
আবার
পাপ
করলো
এবং
বলল,
‘হে
আমার
রব!
তুমি
আমার
পাপ
ক্ষমা
কর।’
তখন
আল্লাহ
তাআলা
বলেন,
‘আমার
বান্দা
একটি
পাপ
করেছে,
এরপর
সে
জেনেছে
যে,
তার
একজন
রব
আছেন,
যিনি
পাপ
ক্ষমা
করেন
অথবা
তা
দিয়ে
পাকড়াও
করেন।’
আমি
আমার
বান্দাকে ক্ষমা
করলাম।
সুতরাং
সে
যা
ইচ্ছা
করুক।’
(বুখারি,
মুসলিম)
৬.
যথা
সময়ে
তাওবাহ
করাঃ
তাওবাহ
করার
নির্ধারিত সময়
আছে।
আর
তাওবার
নির্ধারিত সময়
দুই
ধরনের-
এক.
প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য
তাওবার
সর্বশেষ সময়
হচ্ছে
তার
মৃত্যু। তাই
মৃত্যু
আসার
আগেই
তাওবাহ
করতে
হবে।
দুই.
সব
মানুষের জন্য
তাওবাহ
করার
সর্বশেষ সময়
হচ্ছে
কেয়ামতের আলামত
হিসেবে
পশ্চিম
দিক
থেকে
সূর্য
উদিত
হওয়া
পর্যন্ত। তাই
সাধারণভাবে পশ্চিম
দিক
থেকে
সূর্য
উদিত
হওয়ার
আগেই
তাওবাহ
করতে
হবে।
মূলত
গুনাহ
করার
সঙ্গে
সঙ্গেই
তাওবাহ
করা
জরুরি।
গুনাহের সঙ্গে
সঙ্গে
তাওবাহ
না
করে
শেষ
জীবনে
দাড়ি-চুল পাকলে পরে
তাওবাহ
করার
অপেক্ষায় না
থাকা
কিংবা
অবহেলা
না
করা।
তারষ
যে
তোসো
ম,য় মৃত্যু এসে
যেতে
পারে।
আর
মৃত্যু
চলে
আসলে
তাওবাহ
করার
সুযোগ
থাকবে
না।
আল্লাহ
তাআলা
বলেন-
‘নিশ্চয়ই তাদের
তাওবাহ
কবুল
করা
আল্লাহর দায়িত্ব যারা
অজ্ঞতাবশতঃ মন্দ
কাজ
করে।
এরপর
অনতিবিলম্বে তারা
তাওবাহ
করে।
তারপর
আল্লাহ
এদের
তাওবাহ
কবুল
করবেন
আর
আল্লাহ
মহাজ্ঞানী, অতিপ্রজ্ঞাময়। আর
তাওবাহ
নেই
তাদের,
যারা
অন্যায়
কাজসমূহ করতে
থাকে,
অবশেষে
যখন
তাদের
কারো
মৃত্যু
এসে
যায়,
তখন
বলে,
আমি
এখন
তাওবাহ
করলাম;
আর
তাওবাহ
তাদের
জন্য
নয়,
যারা
কাফির
অবস্থায় মারা
যায়;
আমরা
এদের
জন্যই
তৈরি
করেছি
যন্ত্রণাদায়ক আজাব।’
(সুরা
নিসা
: আয়াত
১৭-১৮)
নবিজী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া
সাললাম
বলেছেন-
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ
তাআলা
বান্দার তাওবাহ
সে
পর্যন্ত কবুল
করবেন,
যে
পর্যন্ত তার
প্রাণ
কণ্ঠাগত না
হয়
(অর্থাৎ
মৃত্যুর আগ
মুহূর্তে ঘ্যার
ঘ্যার
করা
শুরু
করে)।’ (মুসনাদে আহমাদ,
তিরমিজি)
মনে
রাখতে
হবে-
আল্লাহর আজাব
দেখার
পরে
তাওবাহ
কোনো
উপকারে
আসবে
না।
কারণ
মৃত্যুর সময়
ফেরআউনের ঈমান
তার
কোনো
উপকারে
আসেনি।
সুতরাং
কেউ
আল্লাহর আজাব
গ্রাস
করার
মুহূর্তে তাওবাহ
করলে
তা
তার
কোনো
উপকারে
আসবে
না।
আল্লাহ
তাআলা
বলেছেন-
‘তারপর
তারা
যখন
আমার
আজাব
দেখলো
তখন
বলল,
‘আমরা
এক
আল্লাহর প্রতি
ঈমান
আনলাম,
আর
যাদেরকে আমরা
তার
সঙ্গে
শরীক
করতাম
তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করলাম’। সুতরাং তারা
যখন
আমার
‘আযাজ
দেখলো
তখন
তাদের
ঈমান
তাদের
কোনো
উপকার
করলো
না।
এটা
আল্লাহর বিধান,
তাঁর
বান্দাদের মধ্যে
চলে
আসছে।
আর
তখনই
ঐ
ক্ষেত্রে কাফিররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
(সুরা
মুমিন
: আয়াত
৮৪-৮৫)
মানুষের হক
ফিরিয়ে
দেওয়া-
যদি
কোনো
গুনাহের সম্পর্ক কোনো
মানুষের অধিকারের সঙ্গে
হয়,
তাহলে
যার
অধিকার
নষ্ট
হয়েছে,
তার
অধিকার
ফিরিয়ে
দিতে
হবে
অথবা
তার
কাছে
ক্ষমা
চেয়ে
নিতে
হবে।
যদি
অবৈধ
পন্থায়
কারো
মাল
বা
অন্য
কিছু
গ্রহণ-হরণ করে থাকে,
তাহলে
তা
মালিককে ফিরিয়ে
দিতে
হবে।
আর
যদি
কারো
উপর
মিথ্যা
অপবাদ
দেয়
অথবা
অনুরূপ
কোনো
দোষ
করে
থাকে,
তাহলে
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে
শাস্তি
নিতে
নিজেকে
পেশ
করতে
হবে
অথবা
তার
কাছে
ক্ষমা
চেয়ে
নিতে
হবে।
যার
প্রতি
জুলুম
করা
হয়েছে,
তার
কাছে
ক্ষমা
চাইতে
হবে।
হাদিসে
এসেছে-
নবিজী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া
সাল্লাম বলেছেন,
‘যদি
কোনো
ব্যক্তি তার
মুসলিম
ভাইয়ের
প্রতি
তার
সম্ভ্রম বা
অন্য
কিছুতে
কোনো
জুলুম
ও
অন্যায়
করে
থাকে,
তাহলে
সেদিন
আসার
আগেই
সে
যেন
আজই
তার
কাছ
থেকে
(ক্ষমা
চাওয়া
অথবা
প্রতিশোধ/পরিশোধ
দেয়ার
মাধ্যমে) নিজেকে
মুক্ত
করে
নেয়;
যে
দিন
(ক্ষতিপূরণ দেয়ার
জন্য)
না
দীনার
হবে
না
দিরহাম,
টাকা-পয়সা, মাল-ধন
(সেদিন)
জালেমের নেক
আমল
থাকলে
তার
জুলুম
অনুপাতে নেকি
তার
কাছ
থেকে
কেটে
নিয়ে
(মাজলুমকে দেয়া)
হবে।
পক্ষান্তরে যদি
তার
নেকি
না
থাকে
(অথবা
নিঃশেষ
হয়ে
যায়)
তাহলে
তার
বাদীর
(মাজলুমের) গুনাহ
নিয়ে
তার
ঘাড়ে
চাপানো
হবে।’
(বুখারি,
তিরমিজি)
সুতরাং
মুসলিম
উম্মাহর উচিত,
তাওবাহর সব
শর্ত
মেনে
উল্লিখিত নিয়ম
পদ্ধতির আলোকে
তাওবাহ
করা।
তবেই
তার
তাওবাহ
হবে
খাঁটি।
এই
তাওবাই
আল্লাহ
চান
এবং
তিনিই
তাওবা
গ্রহণ
করেন।
আল্লাহ
তাআলা
উম্মাতে মুসলিমাকে তাওবার
শর্ত
ও
পদ্ধতিগুলো মেনে
আল্লাহর কাছে
ক্ষমা
পাওয়ার
তাওফিক
দান
করুন।
কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা মেনে তাওবাহ করার
তাওফিক
দান
করুন।
আমিন।
লেখক
: কলামিস্ট-গবেষক।