আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ১৪ এপ্রিলকে ‘বাংলা নববর্ষ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টেটের সিনেট। অঙ্গরাজ্যটির সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি ও বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি দৃঢ় করার লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় বুধবার এ সিদ্ধান্ত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা
হয়, মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার ও সিইও বিশ্বজিত সাহার
উদ্যোগে নিউইয়র্ক স্টেট
সিনেটর
লুইস
সেপুলেভদা সিনেটে
প্রস্তাবনাটি তুলে
ধরেন।
এর
প্রেক্ষিতে নিউইয়র্ক স্টেট
এই
রাজ্যে
বসবাসরত বাঙ্গালিদের অবদানের স্বীকৃতি জানিয়ে
১৪
এপ্রিলকে বাংলা
নববর্ষ
হিসেবে
ঘোষণার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা
হয়, ভারতের মুঘল সাম্রাজ্যে পহেলা
বৈশাখ
উদযাপনের সূচনা।
বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও
এশিয়ার
বিভিন্ন দেশে যেমন লাওস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডসহ ভারতের
বিভিন্ন অঞ্চলে
একই
সময়ে
নববর্ষ
উদযাপিত হয়ে
থাকে।
বাংলা
ভাষায়
কথা
বলেন
এমন
অভিবাসীর কথা
উল্লেখ
করে
এতে
বলা
হয়,
বাংলাদেশ ও
পশ্চিম
বাংলা
থেকে
আসা
বিপুল
সংখ্যক
অভিবাসী এই
রাজ্যে
নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান
রেখে
যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসকারীদের অর্ধেকই নিউইয়র্কের বাসিন্দা।
পহেলা বৈশাখ
বাঙ্গালির জীবনে
অতি
গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ
করে
এতে বলা হয়, প্রতি
বছর
বিপুল
সমারোহে এই
দিনটি
উদযাপিত হয়ে
থাকে।
২০২২
সাল
থেকে
দিবসটি
নিউইয়র্কের টাইমস
স্কয়ারে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হয়ে
আসছে। প্রবাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
এবং বাংলা ভাষা ও
সংস্কৃতির প্রসারে নিউইয়র্কের মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান
রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্বজিত সাহা
বলেন,
বাংলাদেশ ও
পশ্চিমবঙ্গের বাইরে
যে
বিশ্ববাঙালি রয়েছে
এই
স্বীকৃতি সকলকে
উজ্জীবিত ও
গৌরবান্বিত করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা
হয়,
যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ
অবদানের জন্য
শিকাগো
টাওয়ার-খ্যাত প্রকৌশলী এফ
আর
খান,
লিভিং
দ্য
ওয়ার্ল্ড বিহাইন্ড-খ্যাত
রুমানা
আনম,
লেখক
ঝুম্পা
লাহিড়ী,
অমিতাভ
ঘোষ,
ইকবাল
কাদির,
ইউটিউবের কো
ফাউন্ডার জাওয়েদ
করিম,
খান
একাডেমির ফাউন্ডার সালমান
খান,
ওমর
ইশরাকসহ কৃতি
বাঙালিদের নাম
বিশেষভাবে উল্লেখ
করেছেন
নিউইয়র্ক স্টেট
সিনেটর।