গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। যার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা, ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভূত হয়। গরমে শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই। এই সময়ে ভাজাভুজি, তেল-মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। এর পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় বেশি করে ফল, শাক-সবজি রাখা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এমন সব ফল যুক্ত করা প্রয়োজন যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকে। এসব ফল খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে, সেই সঙ্গে পানিশূন্যতাও দূর হবে। গ্রীষ্মের এমন কিছু ফল যা আছে কেবল শরীরে পানির ঘাটতিই পূরণ করে না, বরং প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থও সরবরাহ করে। যেমন-
তরমুজ : তরমুজ
গ্রীষ্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল।
এই
ফলে
৯০
শতাংশেরও বেশি
পানি
থাকে।
এটি
শরীরকে
ঠান্ডা
রাখে
এবং
পানিশূন্যতা রোধ
করে।
তরমুজে
প্রচুর
পরিমাণে পটাশিয়াম এবং
ভিটামিন সি
থাকে,
যা
শরীরে
ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায়
রাখতে
ভূমিকা
রাখে।
তরমুজ
খেলে
শরীর
তাৎক্ষণিক শক্তি
পায়
এবং
গরম
থেকে
স্বস্তি বোধ
করে।
শসা: গ্রীষ্মে শরীরকে
হাইড্রেটেড রাখার
সবচেয়ে সহজ
উপায়
শসা
খাওয়া।
এতে
পানির
পরিমাণ
৯৫
শতাংশ।
শসায়
থাকা
ফাইবার
এবং
খনিজ
পদার্থ
পাচনতন্ত্রের উন্নতি
করে
এবং
শরীরকে
ঠান্ডা
রাখে।
এটি
সালাদ
হিসেবে
বা
কাঁচা
হিসেবে
খাওয়া
স্বাস্থ্যের জন্য
উপকারী।
বাঙ্গি: গরমে
শরীরকে
ঠান্ডা
রাখে।
এতে
প্রায়
৯০
শতাংশ
পানি
থাকায়
এটি
শরীরকে
হাইড্রেটেড রাখতে
সাহায্য করে।
বাঙ্গিতে থাকা
নানা
পুষ্টিগুণ রক্তে
শর্করার মাত্রা
নিয়ন্ত্রণ করে।
এই
ফল
খেলে
শুধু
পেট
ঠান্ডা
থাকে
না,
হজমশক্তিও উন্নত
হয়।
এতে
উপস্থিত ভিটামিন এ
এবং
সি
ত্বককে
উজ্জ্বল করে
এবং
শরীরকে
টক্সিনমুক্ত করে।
আনারস: এই
ফলে
৮৬
শতাংশ
পানি
থাকে।
টক-মিষ্টি স্বাদের এই
ফলের
মধ্যে
পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি
থাকায়
এটি
রোগ
প্রতিরোধে ভূমিকা
রাখে।
গরমের
সময়
নিয়ম
করে
এই
ফল
খেলে
শরীরে
পানির
ঘাটতি
পূরণ
হবে।
জামরুল :রক্ত
পরিষ্কার রাখতে
জামরুলের জুড়ি
মেলা
ভার।
শুধু
তাই
নয়,
এই
ফল
রক্তে
শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এ
কারণে
গরমে
প্রতিদিন জামরুল
খেলে
শরীরে
পানির
ভারসাম্য বজায়
থাকে৷