শনিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , রাত ১০:৫১


হাওড়ায় পঞ্চায়েতে প্রার্থী একই পরিবারের তিন বৌ,লড়ছেন তৃণমূল,কংগ্রেস ও বিজেপির প্রার্থী হয়ে

রিপোর্টার : হাওড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : সোমবার , ৭ আগস্ট ২০২৩ , রাত ১১:১৪
প্রিন্ট ভিউ

দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত থানামাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত।এখানে এ বার ১১৩ নম্বর বুথের গ্রামসভায় প্রার্থী তিন জা।সরকার পাড়া অঞ্চলের বসু বাড়ির তিন গৃহবধূই এ বার প্রার্থী।

পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই তিন জায়ের মধ্যে।হাওড়ার থানামাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই একই পরিবারের তিন গৃহবধূর।তবে রাজনৈতিক লড়াই চললেও সংসারে সম্পর্ক অটুট থাকবে বলে মনে করেন তিন জনই।

দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত থানামাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত।এখানে এ বার ১১৩ নম্বর বুথের গ্রামসভায় প্রার্থী তিন জা।সরকার পাড়া অঞ্চলের বসু বাড়ির তিন গৃহবধূই এ বার প্রার্থী।তৃণমূলের হয়ে কাকলী বসু,কংগ্রেসের হয়ে নীলিমা বসু এবং পিঙ্কি বসু দাঁড়িয়েছেন বিজেপির হয়ে।বাড়ির প্রবীণ সদস্য প্রফুল্ল বসু বলেন,‘‘এ বাড়ি এক সময় কংগ্রেস সমর্থক বাড়ি বলেই পরিচিত ছিল।বাড়ির সদস্য মদনমোহন বোস পঞ্চায়েতে জিতে অনেক কাজ করেছিলেন।তিনি প্রয়াত হওয়ার পর সে ভাবে উন্নয়ন হয়নি এলাকায়।’’

এ বার বসু বাড়ির সদস্যদের হাতিয়ার করে লড়াইয়ে নেমেছে তিন দল।কংগ্রেস প্রার্থী নীলিমা বলেন,‘‘আমরা তৃণমূলই করতাম।কিন্তু আমাকে প্রার্থী হতে হলে‘কিছু দিতে’হবে বলে দাবি করা হয়েছিল।যা মানতে পারিনি।তা ছাড়া তৃণমূলে প্রচুর দুর্নীতি রয়েছে।উন্নয়ন হয়নি এলাকায়।তাই কংগ্রেসের হয়ে লড়ছি।’’তৃণমূল প্রার্থী কাকলীর আবার দাবি,‘‘কিছু বিষয় নিশ্চয়ই আছে যে কারণে নীলিমাকে টিকিট দেওয়া হয়নি।আর ও দলকে যদি সত্যিই ভালোবাসত তা হলে অন্য দিকে যেত না।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জন্য মানুষ তাঁকেই ভোট দেবে।’’অন্য দিকে বিজেপি প্রার্থী পিঙ্কি বলেন,‘‘মানুষ যদি সুযোগ দেন তা হলে উন্নয়ন করে দেখিয়ে দেব।’’তবে তিন জনেই জানাচ্ছেন,তাঁদের সবার মধ্যে সম্পর্ক মধুর।রাজনৈতিক লড়াই হলেও সম্পর্ক ঠিক রয়েছে।নির্বাচনী লড়াইয়েও সেই সুসম্পর্ক মধুরই থাকে কি না সেটাই দেখার।