সাম্রাজ্যবাদী মার্কিনীদের প্রত্যক্ষ মদদে গাজায় মুসলিম গণহত্যা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আজ বাদ জুমা রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিক্ষোভে ফেঁটে পড়েন। ঈমানী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিক্ষুদ্ধ জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মিছিলে অংশ নেয়।
বিক্ষোভ মিছিলে ফিলিস্তিনি পতাকা, ইসরাইলি বিরোধী নানা ধরনের ব্যানার ফ্যাস্টুন শোভা পায়। বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে ফিলিস্তিনে ইসরাইলির চালানো বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আজ জুমার নামাজের পর উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ইসলামী দল ও সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানানো হয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হোরায়রা ও মহাসচিব মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে গতকাল শুক্রবার সারা দেশের মসজিদ সমূহে ইসরাইলি পণ্য বর্জন ও দেশীয় হালাল পণ্য ব্যবহারের আহবান জানিয়ে খুৎবা দানের জন্য সকল খতিব ও ইমামদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ছিলেন।
শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও
প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে
যাওয়ার
আহ্বান
জানিয়ে
নেতৃদ্বয় ইসরাইলি পণ্য
ব্যবহার হারাম
ঘোষণা
দেয়ার
ও
আহ্বান
জানান।
আজ
শনিবার
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের আহবানে
নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি
সংহতি
প্রকাশ
করে
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে “মার্চ
ফর
গাজা
“কর্মসূচি পালিত
হবে।
এতে
বিপুল
সংখ্যক
সর্বস্তরের জনতা
অংশ
নিবেন।
আগামীকাল শনিবার
বেলা
২টায়
জাতীয়
প্রেসক্লাবের সামনে
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের উদ্যোগে ফিলিস্তিনি ইসরাইল
গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সামাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সংগঠনের উদ্যোগে দেশব্যাপী এ
কর্মসূচি পালিত
হবে।
এদিকে,
বায়তুল
মোকাররমের উত্তর
গেটে
ইসলামী
যুব
আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা
মহানগর
উত্তর
ও
দক্ষিণ
শাখার
উদ্যোগে এক
বিক্ষোভ মিছিল
অনুষ্ঠিত হয়।
একই
সময়
আল
কুদস
কমিটি
বাংলাদেশ, ‘বাংলাদেশ তিসরি
ইনসাফ
দল
এবং
‘জাতীয়
ইমাম
সমাজ
বাংলাদেশ এর
পক্ষ
থেকেও
পৃথক
বিক্ষোভ ও
প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত
হয়।
সমাবেশে ইসলামী
যুব
আন্দোলনের নেতারা
বলেন,
ইসরাইল
যে
গণহত্যা চালাচ্ছে, তা
মানবতার চরম
লঙ্ঘন।
এ
অবস্থায় ইসরাইলির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে
হলে
তাদের
সব
পণ্য
বয়কট
করতে
হবে।
দেশের
যেসব
ব্যবসায়ী ইসরাইলি পণ্য
আমদানি
করছেন,
তাদের
অনুরোধ
করব-এই ব্যবসা থেকে
দ্রুত
সরে
আসুন।
দেশের
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সবসময়
ফিলিস্তিনের পাশে
থাকবে।
তারা
আরও
বলেন,
বিশ্ব
সন্ত্রাসী আমেরিকা মদদে
ইসরাইল
গাজায়
যে
গণহত্যা চলছে,
তা
আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতির পরিপন্থী। হামাসের সঙ্গে
পারছে
না
বলে
নিরীহ
শিশু,
নারী,
সাধারণ
মানুষকে হত্যা
করছে।
ইতোমধ্যে প্রায়
৬০
হাজার
মানুষ
নিহত
হয়েছে।
অথচ
জাতিসংঘসহ কোনো
আন্তর্জাতিক সংস্থা
কার্যকর ভূমিকা
নিচ্ছে
না।
ওআইসিসহ সব
সংস্থাকে এখনই
পদক্ষেপ নিতে
হবে।
বাংলাদেশ তিসরি
ইনসাফ
দলের
বিক্ষোভ থেকে
বলা
হয়,
গাজায়
শিশুসহ
অসংখ্য
নিরীহ
মানুষকে হত্যা
করে
ইসরায়েল মানবতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে
দিয়েছে। ইসরাইলি পণ্য
বর্জন
করতে
হবে
এবং
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে
বিশ্বব্যাপী জনমত
গড়ে
তুলতে
হবে।
জাতীয়
ইমাম
সমাজ
বাংলাদেশের সভাপতি
মাওলানা বেলায়েত হোসেন
আল
ফিরোজী
বলেন,
ইসরাইলের বর্বর
হামলা
দাজ্জালের আবির্ভাবের ইঙ্গিত
দেয়।
মহানবী
হযরত
মুহাম্মদ (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী আজ
বাস্তবে রূপ
নিচ্ছে। এখন
মুসলমান হিসেবে
ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া
ফরজ
হয়ে
গেছে।
বাংলাদেশের ইসলামী
দলগুলোর আন্দোলনে আমরা
পূর্ণ
সমর্থন
জানাই।
তিনি
বলেন,
বাংলাদেশের মতো
অন্যান্য মুসলিম
রাষ্ট্রগুলোও যেন
ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
ইসরাইলি পণ্যের
তালিকা
করে
বর্জন
নিশ্চিত করতে
হবে।
বিক্ষোভ শেষে
কয়েকটি
মিছিলে
বিভিন্ন সংগঠন
থেকে
ইসরাইলের প্রতি
ঘৃণা
ও
প্রতিবাদ জানিয়ে
ফিলিস্তিনের পাশে
থাকার
অঙ্গীকার করা
হয়।
বাংলাদেশ খেলাফত
মজলিস
ঃ
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ এর
আহবানে
আগামীকাল শনিবার
বিকেল
তিনটায়
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে “মার্চ
ফর
গাজা
“ সফল
করার
আহবান
জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত
মজলিস।
এক
বিবৃতিতে দলের
আমীর
মাওলানা মামুনুল হক
ও
মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ
দলীয়
সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে এই
কর্মসূচিতে সর্বাত্মক অংশগ্রহণের আহবান
জানান।
বিবৃতিতে তারাঁ
বলেন,
গাজায়
দীর্ঘদিন ধরে
চলমান
অবৈধ
ইসরাইল
কর্তৃক
নিপীড়ন,
গণহত্যা ও
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যে
প্রতিবাদের জোয়ার
উঠেছে,
‘মার্চ
ফর
গাজা’
তারই
একটি
গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আমরা
এই
কর্মসূচির প্রতি
আমাদের
পূর্ণ
সমর্থন
ও
সংহতি
প্রকাশ
করছি।
গাজা
মুক্ত
হোক।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা নিশ্চিত হোক।
সাভারে
ইত্তিহাদুল উলামার
বিক্ষোভ ঃ
ইসরাইল
কর্তৃক
ফিলিস্তিনের গাজা
উপত্যকার মুসলমানদের নির্মম
ও
নিষ্ঠুর গণহত্যার প্রতিবাদে আজ
শুক্রবার বাদ
জুমা
সাভারের হেমায়েতপুরে ঢাকা
আরিচা
মহাসড়কে ইত্তিহাদুল উলামা
তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের উদ্যোগে স্মরণাতীতকালের বৃহৎ
বিক্ষোভ মিছিল
ও
সমাবেশ
অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ
বাদ
জুমা
ফিলিস্তিনি মাজলুম
মুসলমানদের প্রতি
সংহতি
প্রকাশ
করে
অনুষ্ঠিত এই
বিক্ষোভে দলমত
নির্বিশেষে হাজার
হাজার
বিক্ষুব্ধ জনতা
অংশগ্রহণ করেন।
ইত্তিহাদুল উলামা
তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের সভাপতি
মাওলানা আব্দুল
হাইয়ের
সভাপতিত্বে প্রধান
অতিথি
ছিলেন
প্রবীণ
আলেমেদ্বীন ও
যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ
মাওলানা আলী
আকবর
কাসেমী। সংগঠনটির সাধারণ
সম্পাদক মুফতি
আব্দুল
কুদ্দুস, মুফতি
মাহমুদ
হাসান
হাবিবী
ও
মুফতি
রফিকুল
ইসলামের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে
বক্তব্য রাখেন,
বলিয়ারপুর মাদরাসার মুহতামিম মুফতি
আব্দুর
রাজ্জাক কাসেমী,
হারুনিয়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতি
আলী
আশরাফ
তৈয়ব,
ভূঁইয়াবাড়ি মসজিদের খতিব
মাওলানা আবু
সাঈদ,
মুফতি
রেদওয়ানুল হক
রমজান,
ওলামা
মাশায়েখ আইম্মা
পরিষদ
সাভারের সেক্রেটারি মুফতি
ইলিয়াস
আহমাদ,
মাওলানা আফজাল
বিন
এনায়েত,
মুফতি
কেফায়াতুল্লাহ আনসারী,
মাওলানা সিরাজুল ইসলাম,
মুফতি
মাহমুদুল হাসান
মুরতাজা, ডা.
হামিম
উদ্দিন,
মুফতি
ইবরাহীম নাঈম,
মাওলানা আবদুল্লাহ আল
মামুন।
প্রধান
অতিথির
বক্তব্যে হাফেজ
মাওলানা আলী
আকবর
কাসেমী
বলেন,
গাজায়
ইসরালি
বাহিনীর গণহত্যা বন্ধে
জাতিসংঘ, আবর
লীগ,
ওআইসি
ও
কমনওয়েলথসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা
ও
বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে
কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ
করতে
হবে।
ইহুদিরা মুসলমানদের এক
নম্বর
শত্রু
উল্লেখ
করে
তিনি
বলেন,
‘ইসলামের শুরু
থেকে
ইহুদিরা ইসলাম,
মুসলমান ও
মহানবী
হযরত
মুহাম্মাদ (সা.)
এর
বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে
আসছে।
ইহুদীরা বিশ্বের সবচেয়ে
বড়
সন্ত্রাসী। আধুনিক
বিশ্বে
সর্বসন্ত্রাসের আখড়া
ইসরাইল। একদিন
সময়
আসবে,
ইসরাইলের কোনো
চিহ্ন
পৃথিবীর বুকে
থাকবে
না।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে
যেভাবে
পারি
প্রতিবাদ করে
যাব,
এটা
আমাদের
ঈমানী
দায়িত্ব। ইসরইলের সকল
পণ্য
বর্জন
করা
জরুরি।
বিক্ষোভ সমাবেশ
শেষে
বিশাল
একটি
মিছিল
ঢাকা
আরিচা
মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান
প্রদক্ষিণ করে।
আল-কুদস কমিটি বাংলাদেশ ঃ
ফিলিস্তিনের গাজায়
পাশবিক
হামলা
ও
নিরীহ
গাজাবাসীকে নৃশংসভাবে হত্যার
প্রতিবাদে আল-কুদস কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে আজ
বাদ
জুমআ
বায়তুল
মোকাররম জাতীয়
মসজিদের উত্তর
গেট
থেকে
একটি
বিক্ষোভ বের
করে।
মিছিলে
বিক্ষোভকারীরা ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, জায়োনবাদ নিপাত
যাক,
ফিলিস্তিন মুক্তিপাক ইত্যাদি স্লোগান দিতে
থাকেন।
মিছিল
শেষে
এক
সমাবেশে মিলিত
হন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন,
ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ
এবং
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নিতে
বিশ্ব
নেতাদের প্রতি
আহবান
জানান।
বক্তারা বলেন,আজকে সারা বিশ্বের মুসলিমরা বিক্ষোভে ফেটে
পড়েছে।
সেখানে
ফিলিস্তিনের শিশু-নারীরা লাশের মিছিলে
শরিক
হচ্ছে।
সন্ত্রাসী ইসরাইল
আমাদের
মুসলিম
ভাই-বোনদের উপর হামলা
করছে।
তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা
করে
যাচ্ছে। বক্তারা ইহুদীবাদী সেনাদের এই
বর্বরোচিত হামলার
তীব্র
নিন্দা
জানান
এবং
তাদের
এই
নৃশংস
অপরাধযজ্ঞ বন্ধ
করতে
মুসলিম
বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেয়ার
আহবান
জানান।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গাজা
ও
রাফায়
নির্মম
ও
নিষ্ঠুর গণহত্যা বন্ধ
করার
আহ্বান
জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে
সভাপতিত্ব করেন
আল
কুদস
কমিটি
বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ডক্টর জহির
উদ্দিন
মাহমুদ। প্রধান
বক্তার
বক্তব্য রাখেন
আল
কুদস
কমিটি
বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা তারেকুল হাসান।
অন্যান্যদের মধ্যে
বক্তব্য রাখেন,
আল
কুদস
কমিটি
বাংলাদেশের জয়েন্ট
সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মুসলিম
বিন
হাই,
প্রচার
ও
প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা মোঃ
আবু
বকর
সিদ্দিক, আলোকিত
দৈনিক
পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক ওমর
ফারুক,
আল
কুদস
কমিটি
বাংলাদেশের সহকারী
অর্থ
সম্পাদক ফারুক
আহমাদ,
বিশিষ্ট সমাজসেবক এফ
এম
আলী
হায়দার। বাংলাদেশ মসলিম
লীগ
ঃ
গাজায়
ইহুদিবাদী ইসরাইল
কর্তৃক
নির্বিচারে মুসলিম
গণহত্যা মূলত
হাজার
বছর
ধরে
পুষে
রাখা
ধর্মযুদ্ধ। এই
ধর্মযুদ্ধ তথা
মুসলিম
গণহত্যার প্রতিবাদে ভোগ
বিলাসে
লিপ্ত
থাকা
আরব
দেশ
গুলির
দিকে
না
তাকিয়ে
যার
যার
অবস্থান থেকে
বিভিন্ন উপায়
সর্বাত্মক প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে
তোলা
একান্ত
প্রয়োজন। গাজায়
ইহুদিবাদী ইসরাইল
কর্তৃক
নির্বিচারে মুসলিম
গণহত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জাতীয়
প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ মুসলিম
লীগ
কর্তৃক
আয়োজিত
এক
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব
কথা
বলেন।
দলের
অস্থায়ী সভাপতি
আব্দুল
আজিজ
হাওলাদারের সভাপতিত্বে আরো
বক্তব্য রাখেন,
স্থায়ী
কমিটির
সদস্য
আনোয়ার
হোসেন
আবুড়ী।
বাংলাদেশ মুসলিম
লীগ
(বিএমএল)
ঃ
এদিকে,
গাজায়
চলমান
গণহত্যা এবং
ইন্ডিয়ায় ওয়াকফ
আইন
সংশোধনের ব্যাপারে উদ্বেগ
প্রকাশ
করেছেন
বাংলাদেশ মুসলিম
লীগ
(বিএমএল)
এর
সভাপতি
ব্যারিস্টার নাসিম
খান।
এক
বিবৃতিতে তিনি
বলেন,
গাজা
জ্বলছে,
ভারতে
ওয়াকফ
বিলুপ্ত হচ্ছে-
মুসলিমদের আত্মপরিচয় আজ
চূড়ান্ত হামলার
মুখে।
গাজা
ধ্বংস
হয়ে
যাচ্ছে,
আর
ভারতের
সংসদে
ওয়াকফ
আইনের
গলা
কেটে
ফেলার
প্রস্তুতি চলছে।
দুই
দেশের
ঘটনা
কিন্তু
বার্তা
একটাই:
“মুসলমানদের জমি,
স্মৃতি
বা
ক্ষমতার কোনো
অধিকার
নেই
ফিলিস্তিনে, না
মোদির
ভারতে।
ইউকে
জমিয়ত
টাওয়ারহামল্যাটস শাখা
ঃ
জমিয়তে
উলামায়ে ইসলাম
ইউকে
টাওয়ার
হ্যামলেটস শাখার
উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে
গাজা
ফিলিস্তিনে ইতিহাসের সবচেয়ে
জঘন্যতম গণহত্যা ও
মানবতাবিরোধী হত্যাকা- এবং
ভারতে
ওয়াকফ
বিল
পাস
করে
ইসলাম
ও
মুসলমানদের বিরুদ্ধে গভীর
ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের তীব্র
নিন্দা
জানিয়ে
বিরাট
প্রতিবাদ সভা
ও
দোয়া
মাহফিল
অনুষ্ঠিত হয়।
পূর্ব
লন্ডনের একটি
রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায়
টাওয়ার
হ্যামলেটস শাখা
জমিয়তের সভাপতি
মাওলানা হাফিজ
মুহাম্মদ ইলিয়াস
সভাপতিত্ব করেন।
সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন
করেন
টাওয়ার
হ্যামলেটস জমিয়তের সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল
হাসান।
সভায়
প্রধান
অতিথির
বক্তব্য দেন
ইউকে
জমিয়তের সভাপতি
ডক্টর
মাওলানা শুয়াইব
আহমদ।
আরো
বক্তব্য রাখেন,
ইউকে
জমিয়তের সিনিয়র
সহ-সভাপতি বিশিষ্ট মিডিয়া
ভাষ্যকার মুফতি
আবদুল
মুনতাকিম। বিশেষ
অতিথির
বক্তব্য দেন
ইউকে
জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা সৈয়দ
তামীম
আহমদ,
সহ
সভাপতি
হাফিজ
হুসাইন
আহমদ
বিশ্বনাথী, ইউকে
জমিয়তের জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ
নাঈম
আহমদ
ও
সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শামছুল
আলম
কিয়ামপূরী। পরে
বিশেষ
মোনাজাত পরিচালনা করেন
ঢাকা
থেকে
আগত
মেহমান
হাবের
সাবেক
নেতা
মাওলানা হাবীবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুব
উদ্দিন। জাতীয়
উলামা
মুভমেন্টের ঃ
ফিলিস্তিনের গাজায়
ইঙ্গ-মার্কিন মদদে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর চলমান
নির্মম
গণহত্যা বন্ধ
ও
আন্তর্জাতিকভাবে তাদের
বিচারের দাবিতে
জাতীয়
উলামা
মুভমেন্টের আমীর
মাওলানা আব্দুল্লাহ আল
মাসউদ
খান
এবং
মহাসচিব মাওলানা এহতেশামুল হক
সাখী
এক
যৌথ
বিবৃতিতে মার্চ
ফর
গাজা
কর্মসূচি সফল
করার
অনুরোধ
জানিয়েছেন।