ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পুলিশের অভিযানের সময় যুবলীগ নেতাকে পালাতে সহায়তা করেছে যুবদল নেতা। এ ঘটনায় শনিবার ১৭ মে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিজয়নগর থানা পুলিশ। মামলায় বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার জেলা যুবদল থেকে অভিযুক্তকে এর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। পালিয়ে যাওয়া যুবলীগ নেতা ও অভিযুক্ত যুবদল নেতার কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ভিডিও চিত্র ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধন্তী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মিয়াকে ধরতে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের ইউনুস মিয়ার দোকানে ১৫ মে রাত ১১টার দিকে ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস.আই) সুমন চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে অভিযান চালায় । এ সময় বুধন্তী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান কৌশলে সোহাগ মিয়াকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। অভিযান এর সময় পুলিশকে দোকানের ভেতরের দিকে যেতে দিচ্ছেন না ওই যুবদল নেতা । এক পর্যায়ে ভেতর থেকে সোহাগ মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যান। তবে মিজানুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি মোবাইল ফোনের সিমকার্ড তোলার জন্য একটি দোকানে যাই। এ সময় পুলিশ এসে আমার নাম জানতে চায়। এ নিয়ে ওনাদের সঙ্গে আমার তর্কবিতর্ক হয়। দোকান থেকে কেউ তখন চলে গেছেন কি-না আমি দেখিনি। তিনি বলেন, আমি আসলে ষড়যন্ত্রের শিকার। দীর্ঘ সময় জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে আবার একই পরিস্থিতির শিকার। তবে ঘটনা যেহেতু ঘটেছে বলা হচ্ছে সে কারণে দল শোকজ করতেই পারে। আমি শোকজের জবাব দেব। ঘটনা যে সত্য নয় সেটা দলকে আমি জানিয়ে দেব।বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. শহিদুল ইসলাম যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এসআই সুমন চন্দ্র দাস বাদী হয়ে মিজানুর রহমানসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা থানায় দায়ের করেছেন