আটকের -নয় মাস আগে তারা গিয়েছিলেন ভারতে। কেউ কাজের সন্ধানে, কেউবা ভালো কিছুর আশায়, দালালের খপ্পরে পড়ে ভারতে পাড়ি জমান। বিভিন্ন সময়ে সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে তারা আটক হন। পরে কারাভোগ করেন। এরপর ১১ বাংলাদেশি নাগরিককে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। ফেরত আসতে পারা বাংলাদেশি ও তাদের স্বজনরা এতে বেশ খুশি। দেশে ফেরত আসারা হলেন, কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ফারজানা আহমেদ নিপা, ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মোঃ ইব্রাহিম আলী, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার হেলাল জমদ্দার, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মোঃ আকরামুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের শেকিলপুরের কবীর শেখ, একই এলাকার রাহুল শেখ, মোঃ আশরাফুল হক, গিধনী পাড়ার সুমন রানা, লক্ষীপুরের বদরুল ইসলাম, জমাদ্দার পাড়ার মোঃ আব্দুল মান্নান ও গুথাপাড়ার মোঃ রুহুল আমিন। পরিবারের লোকজনকে তাদেরকে বুঝে নিয়ে দুপুরেই বাড়ির দিকে রওয়ানা হন। এ সময় ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তাদেরকে নগদ অর্থ ও উপহার দেওয়া হয়।
এ সময় ত্রিপুরার আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের ঊর্ধ্বতন সচিব আলমাস হোসেন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম রাশেদুল ইসলাম, আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন, স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুর সাত্তার সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ফেরত আসা ফারজানা আক্তার নিপা বলেন, ভারতের কিছু বন্ধু আছে, তাদের কথায় ওখানে গিয়েছিলাম। যাওয়ার একদিন পরই আমি পুলিশের হাতে আটক হই। প্রায় আট মাস পর দেশে ফিরে এসেছি। পরিবার পরিজন ছাড়া খুবই খারাপ লেগেছে। আমার মতো আর যেন কেউ অবৈধভাবে কোন দেশে না যায়। নিজের দেশে আসতে পেরে এখন আমার খুব ভালো লাগছে।আকরামুলের বাবা জানান, তার ছেলে নয় মাস আগে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কিছুদিন পর খবর পান ছেলে ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে আছে। ছেলেকে কাছে পেয়ে এখন তাদের খুব ভালো লাগছে।’ আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন সচিব আলমাস হোসেন সরকারিভাবে ওই ১১ জন বাংলাদেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।