ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ তিনজন নিহত ও দুইজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। রোববার (১১ মে) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেকানগর গ্রামে, গোকর্ণ ইউনিয়নের গোকর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় ও ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে প্রাণহানির ঘটনাগুলো ঘটে।
নিহতরা হলেন, সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত জুয়াদ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের গোকর্ণ পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আবদুস সালামের ছেলে শামসুল হুদা (৭০) ও চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের আলমগীর হোসেন আনসারীর মেয়ে জাকিয়া বেগম (৮)।
এছাড়াও ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামের ইউনুস মিয়ার স্ত্রী হামেদা বেগম (৩৮) ও টেকানগর গ্রামের মুক্তো মিয়ার ছেলে রিয়াদ মিয়া (১৮) বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়েছেন।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে নাসিরনগরে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেকানগর গ্রামের নিকটবর্তী হাওরে ধান কাটছিলেন কৃষক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি প্রায় প্রতিদিনই কৃষিজমির ধান কাটার কাজে পার্শ্ববর্তী সরাইল উপজেলা থেকে নাসিরনগরে আসতেন। ধান কাটার এক পর্যায়ে বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। সেখানে থাকা অন্য কৃষকরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আব্দুর রাজ্জাক ও আহত রিয়াদ মিয়া একই এলাকায় কৃষিজমিতে কাজ করছিলেন।
অন্যদিকে একই সময়ে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পাশে বজ্রপাতে শামসুল হুদা নামে এক বৃদ্ধ নিহত হন। তিনি পার্শ্ববর্তী কুন্ডা গ্রাম থেকে নিজ গ্রামে ফিরছিলেন। এছাড়া ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে নানার বাড়িতে এসে ৮ বছরের শিশু জাকিয়া বেগম বাড়ির উঠানে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলার সময় বজ্রপাতে নিহত হয়েছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, “বজ্রপাতে নাসিরনগরে তিনজনের মৃত্যু এবং দুইজনের আহত হওয়ার খবর শুনেছি। তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা নাছরিন বলেন, “বজ্রপাতে তিনজনের প্রাণহানির খবর পেয়েছি। তাদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।