স্বৈরাচার সরকার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে যেভাবে পালিয়ে গিয়েছেন। তার দায় শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মীদের। কারণ তাদের অপকর্ম, স্বৈরাচারী মনোভাব ও ফ্যাসিবাদ কায়েম জনগণের আস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। মানুষকে হত্যা করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি। যারা এখনো মাথা নাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তারা এখনো বোকার স্বর্গে বাস করছে। কারণ যে নেত্রী নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে পালিয়ে যেতে পারে। তারই কথায় আবার পুনর্বাসন ও মাথা নাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১১টায় নগরীর স্থানীয় ওয়েস্টার্ন কুজিন হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পড়ে পালিয়ে যাবার দিন চার-পাঁচ লাখ মানুষকে মেরে যদি শেখ হাসিনার থাকার সুযোগ হতো তাহলে তিনি সেটাই করত। এমন একজন ঘৃণ্য গণহত্যাকারী ব্যক্তিত্ব যিনি বাংলাদেশকে নরকে পরিণত করেছে। এত হত্যাকাণ্ডের পরও আওয়ামী লীগ ন্যূনতম কোনো অনুশোচনাবোধ প্রকাশ করেনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলন নিয়ে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতির বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, কারো ইশারা-ইঙ্গিতে বাধ্য হয়ে বলেছেন কি না বা কারো মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে বলেছেন কি না এটা যথেষ্ট পর্যালোচনার দাবি রাখে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যারা এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তারা সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে তিনি ভুল স্বীকার করে নেওয়ায় আমরা স্বাভাবিকভাবে নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, যারা বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি রাজনীতি পরিচালনা করতে চাই গুণগত পরিবর্তন আনতে চায় তাহলে এই প্রজন্মের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তা ও ৫ আগস্টের অনুধাবন করতে পারবে তারা বাংলাদেশি দীর্ঘমেয়াদি রাজনীতি করতে পারবেন। যারা স্বল্প সময়ে কিছু চাইবে তারা জেনারেশনের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যাবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাবো এবং পরবর্তীতে যারা সরকার গঠন করবে তাদেরকে অনুরোধ করব এখানে শিক্ষা অবকাঠামো সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়। উন্নয়নের জায়গায় এখানে বেশ কিছু দুর্বলতা রয়েছে। ছাত্রশিবির সুযোগ ও সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করবে। মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদল, শরিফা বেগম শিউলী সভাপতি রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি, শাহ বায়েজিদঃ আহমেদ সভাপতি রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুর, গোলজার রহমান আদর সভাপতি বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট রংপুর,মোকাররম হোসেন, রবিন চৌধুরী রাসেল, ফখরুল শাহিন চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর রংপুর প্রতিনিধি, জুয়েল ইসলাম বাংলাভিশন টিভির রংপুর ব্যুরো, রেদোয়ান রনি আরপিইউজের প্রচার সম্পাদক, সেলিম,রনি, আলামিন সমাপ্তসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। আরোও উপস্থিত ছিলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় দাওয়াত সম্পাদক হাফেজ মিসবাহুল করিম, মহানগর সভাপতি নুরুল হুদা, সেক্রেটারি আনিসুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, কোষাধক্ষ্য মুজাহিদ আহমেদ জেলা সভাপতি ফিরোজ মাহমুদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি সোহেল রানা, কারমাইকেল কলেজ সভাপতি মেহেদী হাসান।##